একটা দীর্ঘ, বোরিং, ইম্পরট্যান্ট এবং ঘুমপাড়ানি মিটিঙের পর একরাশ কাগজ বগলদাবা করে মিটিং ঘর থেকে বেরিয়ে সিগারেট খাবার জন্যে হাঁকপাঁক করছিলাম।
কিন্তু বাধ সাধছিল হাতের কাগজের বান্ডিল। তার থেকে নিষ্কৃতি পেতে পাকড়াও করলাম আমাদের একজন লিফটচালককে, যাঁর নাম আসিফ খান। বজবজবাসী খানসায়েবকে ধরে অনুরোধ করলাম তিনি যদি কাগজগুলো দোতলায় (আমি যেখানে বসি) পৌঁছে দেন, এবং আমার নাম করে বলেন আমার ঘরে কাগজগুলো রেখে দেবার কথা।
…
সিগারেট সেবন করে ফেরার পথে দেখা। জিগ্যেস করলাম কাগজগুলো দিয়েছেন কি না, এবং কার হাতে দিয়েছেন। তিনি জানালেন, দিয়েছেন এবং ‘ওই মুসলমান ছেলেটা আছে না, ওকে’! বুঝলাম মুজিবের হাতে কাগজ পৌঁছেছে, এবং জেনে নিশ্চিন্তও হলাম, কারণ মুজিব অত্যন্ত এফিসিএন্ট ছেলে।
পরক্ষণেই চেপে ধরলাম খানকে। ‘মুসলমান ছেলে বললেন কেন? আপনিও তো মুসলমান’! উত্তরে লাজুক হেসে বললেন, ‘ওই আমরা ওদের মুসলমান বলেই বলি সার’।
মুজিব বিহারের মুসলমান। আর আসিফ খান বাঙ্গালী। কারণ সম্ভবতঃ সেটাই!
বিচিত্র এই কাণ্ডকারখানা!